বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আগামী ১লা জুলাই থেকে অবৈধ স্মার্টফোন বন্ধের প্রযুক্তি চালুর পরিকল্পনা করেছে। তবে, বর্তমানে যেসকল অনিবন্ধিত স্মার্টফোন ব্যবহার হচ্ছে গ্রাহকেরা আরও কিছুটা সময় পাবেন সেগুলো সচল রাখার জন্য।
বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেছেন, ‘যাতে গ্রাহকের ওপর চাপ না পড়ে, আমরা ব্যবস্থাটি এমনভাবেই চালু করব।’ মূলত রাজস্ব ফাঁকি ও অবৈধ স্মার্টফোন দেশের বাজারে প্রবেশ ঠেকানোর লক্ষ্যে এই কাজটি করা হচ্ছে।
বিটিআরসি স্মার্টফোনের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য ফেব্রুয়ারি ২০২০ এ ন্যাশনাল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) শুরু করার জন্য দরপত্রের আহ্বান জানিয়েছিল। সংস্থাটি গত বছরের নভেম্বর মাসে সিনেসিস আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাথেও চুক্তি করেছিল।
বিটিআরসি সূত্রানুসারে, বর্তমানে দেশে প্রায় ১৫ কোটি মোবাইল হ্যান্ডসেট ব্যবহার হচ্ছে। সচল ফোনগুলোর একটি ডাটাবেস প্রস্তুত করার কাজ এখন প্রায় শেষের পথে। এনইআরআইআর-এর ইনস্টলেশন কাজ আগামী ৯ জুনের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর অবৈধ মোবাইল শনাক্তের প্রক্রিয়া ১লা জুলাই থেকে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে।
বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহিদুল আলম বলেন, জুলাইয়ের আগে গ্রাহকরা যে সমস্ত আনঅফিসিয়াল বা অবৈধভাবে আসা মোবাইল ফোন ব্যবহার শুরু করেছেন তাদের নিবন্ধন কার্যক্রমের অনুমোদন দেওয়া হবে। অতএব সচল মোবাইল ফোনগুলো বন্ধ করা হবে না।
বিটিআরসি জানায়, আমদানি করা হ্যান্ডসেটগুলোর বৈধতা পরীক্ষা এসএমএস-এর মাধ্যমে ডাটাবেস ব্যবহার করে জানা যাবে। ১৫ দিনের অস্থায়ী সময়ের জন্য এনইআইআর পদ্ধতি কাজ করবে এবং জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এর ট্রায়াল রান চলবে।
মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাইয়ের জন্য মোবাইল ফোনের ম্যাসেজ অপশন থেকে KYD স্পেস ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে 16002 নম্বরে পাঠাতে হবে। মোবাইল ফোনের বক্স থেকে অথবা *#06# ডায়াল করে তাৎক্ষণিকভাবে হ্যান্ডসেটের আইএমইআই জানা যাবে।
Good news 😊